মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় যা খাবেন

মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় যা খাবেন

কিছু খাবার আছে যা মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। তেমনই আবার কিছু খাবার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পরিবারে কারও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে এই সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। কোন ধরনের খাবার ডায়েটে রাখা ভালো?

প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, সঙ্গে বমি বমি ভাব কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব যন্ত্রণা, সঙ্গে জ্বর। এই উপসর্গগুলি মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে বেশ পরিচিত। একটানা বেশ কয়েক দিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীর দুর্বল করে দেয়। এই সমস্যার কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই, যা কমিয়ে দিতে পারবে মাইগ্রেন। তবে জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য অনেকটাই সাহায্য করতে পারে মাইগ্রেনের সঙ্গে লড়তে।

মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কোন ধরনের খাবার ডায়েটে রাখা ভাল?

বাদাম
বাদামে থাকে ম্যাগনেসিয়াম। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। এই সব উপাদান মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ফলে কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে এই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নেওয়াই যায়। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করা যেতেই পারে।

মাইগ্রেন
কলা
অনেক সময় খালি পেটে থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করা মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া) হয়ে মাথা ব্যথা শুরু হতে পারে। সেটাই মাইগ্রেনের ব্যথায় পরিণত হতে পারে। তাৎক্ষণিক কী খেলে, এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়। এর জন্য সেরা খাবার কলা। ম্যাগনেসিয়ামের ভরপুর এই ফল খেলে খুব দ্রুত এনার্জি পাবেন এবং মাইগ্রেনের সম্ভাবনাও কমবে।

তরমুজ
পানি বেশি পান করলে মাইগ্রেন অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে এটা অনেকেরই জানা। তবে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে শুধু পানি পান করাই যথেষ্ট নয়। সঙ্গে এমন খাবার খেতে হবে যাতে পানির পরিমাণ বেশি। তরমুজের মতো ফলে ৯২ শতাংশ পানি থাকে। তাই খিদে পেলে প্যাকেটের স্ন্যাক্‌স বার না খেয়ে তরমুজ খান।

মাইগ্রেন
পানি
অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধানই করতে পারে পানি। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও সে কথা সত্যি। নিজের শরীরে পানির মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে রাখা প্রয়োজন। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

মাশরুম
অনেক সময় হজমের বা পেটের অন্য সমস্যা থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে। এবং সেটাই বেড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই মাশরুম, ডিম বা বাদামের মতো খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্ল্যাবিন রয়েছে, এমনসব খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এতে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। খাবার সময় মতো হজম হলে মাথা ব্যথার সমস্যাও কমে যাবে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন